ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘জিপি অ্যাকসেলারেটর’ প্রোগ্রামের ডেমোডেতে সেরা ৫ স্টার্টআপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
‘জিপি অ্যাকসেলারেটর’ প্রোগ্রামের ডেমোডেতে সেরা ৫ স্টার্টআপ ছবি: দীপু-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গ্রামীণফোন (জিপি) অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের ডেমোডে’তে শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর সামনে বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেছেন নির্বাচিত সেরা ৫টি স্টার্টআপ।  

মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত জিপি হাউজে আয়োজিত ডেমোডে’র ‘স্টার্টআপ বাজার’ সেশনে এসব প্রকল্প ‌উপস্থাপন করা হয়।

প্রদর্শিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, এনোভেশন, ক্যান্ডি, শেয়ার, সেবা, রেপ্টো। জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৫ সালে গ্রামীণফোনের সঙ্গে এসডি এশিয়া যুক্ত হয়ে জিপি অ্যাকসেলেরটর প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু হয়। এ প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচের জন্য কয়েকশ’ স্টার্টআপ আবেদন করেন। সেখান থেকে ইন্টারভিউ, ডেমো প্রেজেন্টেশন ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাছাই শেষে সেরা ৫টি স্টার্টআপ নির্বাচন করা হয়।

পরে  স্টার্টআপদের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টিমগুলোকে ১০ লাখের বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করার জন্যও অফিস স্পেস দেওয়া হয় তাদের।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের প্রজেক্ট হেড ফয়সাল কবির বলেন, আমরা সত্যিই অনেক খুশি যে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের প্রথম ব্যাচ তাদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। প্রোগ্রামের শুরুর তুলনায় এখন তাদের শতভাগেরও বেশি উন্নতি হয়েছে।

‘এসডি এশিয়ার সঙ্গে পার্টনারশিপ করে শেষ চার মাসে স্টার্টআপগুলো অনেক কিছু শিখেছে। ’

জিপি’র হেড অব ট্রান্সফরমেশন কাজী মাহবুব হাসান বলেন, শেষ চারমাসে কেমন সেশন চলেছে আর কতখানি উন্নতি হয়েছে তা ডেমোডেতেই দেখা যাবে। স্মার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম খুবই কার্যকর।

প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যকে পরিপূর্ণ করায় গ্রামীণফোন এমপাওয়ারিং সোসাইটির প্রশংসা করেন তিনি।

কাজী মাহবুব হাসান জানান, এসডি এশিয়া এরইমধ্যে জিপি অ্যাকসেলেরটর ব্যাচের জন্য অনেকগুলো মেন্টর মেশনের আয়োজন করে। যেখানে মেন্টর ও এক্সপার্টরা অংশ নেন।

জিপি অ্যাকসেলারেটর সম্পর্কে এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সিইও মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, এই প্রোগ্রাম শুধু স্টার্টআপদের জন্য নয়, এর মাধ্যমে জিপি এখন বুঝতে পারছে এদেশে ডাটা এবং টেক নিয়ে কাজ করা স্মার্টআপগুলোর বর্তমান অবস্থা।

আগস্টে জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় নতুন ব্যাচ শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের মূল পর্বে উপস্থিত দর্শকদের সামনে বড় পর্দায় নিজেদের প্রকল্পগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন টিম প্রধানরা। একই সঙ্গে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
এসজেডএম/টিএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।