ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা বাড়াবে সরকার

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা বাড়াবে সরকার

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬ ভেন্যু থেকে: সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছন, ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, যা মোকাবেলায় সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

সে লক্ষ্যে জনসম্পদ তৈরি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘ননস্টপ বাংলাদেশ’ –প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, আর্থিক খাত ও গোপনীয় বিষয়ের নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে যাতে কেউ অপরাধ কার্যক্রম চালাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৬ প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আওতায় বাংলাদেশে বিশ্বমানের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, সাইবার এভিডেন্স রেসপন্স টিম প্রতিষ্ঠা ও উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যেই ফোর জি চালুর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

দেশে কোনো বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবল না থাকায় আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশ প্রায় ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উড্ডয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে এর যাত্রা শুরু হলে বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদা পূরণের পরে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথ রফতানি করতে পারবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইতোমধ্যে ২০০১টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হবে, এরই মধ্যে ৯০০টির কাজ শেষ পর্যায়ে। এছাড়া ৬৪টি জেলায় ৬৫টি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, ৩০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে, জানান জানান প্রধানমন্ত্রী।

উদ্ভাবকদের জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান এবং উদ্ভাবনীমূলক কাজের জন্য অনুদান নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ এই শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছি।

উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং আইটি স্টার্ট আপ উদ্যোগকে সম্প্রসারণ করতে ইনোভেশন ডিজাইন এন্টারপ্রেন‍ারশিপ একাডেমি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আউটসোসিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে ‘লানিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের আওতায় আরও ৫৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ২০ হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।

** ‘মোবাইল ব্যবসার মনোপলি আমরা ভেঙে দিই’

** জয়ের কাছেই আইসিটি শিখছি, বললেন প্রধানমন্ত্রী
** ‘আমি মনে করি, এ অর্জন বাংলাদেশের’
**আইসিটিতে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের প্রত্যয়

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬, আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা

এমএমকে/এমইউএম/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।