ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বন্ধ সিমের মালিকানা চলে যাবে ৬ মাসে!

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
বন্ধ সিমের মালিকানা চলে যাবে ৬ মাসে!

ঢাকা: বন্ধ থাকা মোবাইল সিমের মালিকানা হারানোর সময় কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। টানা তিন থেকে ছয় মাস কোনো সিম বন্ধ থাকলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটর সেই সিমটি বিক্রি করে দিতে পারবে।



বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে রোববার (৩০ অক্টোবর) বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
বিটিআরসি জারি করা সব শেষ ট্যারিফ এবং সার্ভিস নির্দেশনা অনুযায়ী, নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বরটি ১৫ মাস পর্যন্ত তার ব্যবহারকারীর জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে কোনো গ্রাহক তার ব্যবহৃত সিম/রিম নির্দিষ্ট চার্জের বিনিময়ে ফের সচল করতে পারেন। যদি না করেন সেক্ষেত্রে অপারেটর আরও তিন মাসের পাবলিক নোটিশ দিয়ে ওই নম্বরটি যে কারো কাছে বিক্রি করতে পারে।

অর্থাৎ একজন গ্রাহক সিম নিষ্ক্রিয় করার দিন থেকে সময় পাচ্ছেন মোট ১৮ মাস। একটি নতুন সিম/রিম কেনার ক্ষেত্রে যেসব র্চাজ প্রযোজ্য তার সবই দিয়ে সিমটি নিতে পারেন গ্রাহক।

এখন এই সময় কমিয়ে তিন মাস বা ছয় মাস করবে বিটিআরসি। তিন মাস করা হলে পাবলিক নোটিশ দিয়ে আপত্তি জানানোর জন্য আরও তিন মাস দেওয়া হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে বলেন, তিন মাস বা ছয় মাসের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মালিকানা পরিবর্তনের সময় তিন মাস করলে কী হবে, ছয় মাস করলে কী হবে- এগুলো কমিশন সভায় আলোচনা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

গত বছরের মার্চ মাসের এক নির্দেশনায় মালিকানা হারানোর সময় দুই বছর করে দেয় বিটিআরসি। ওই সময় বলা হয়, তিন মাস বা ৯০ দিন টানা বন্ধ থাকলে সিমটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। পরবর্তীতে দুই বছরের মধ্যে ১৫০ টাকা দিয়ে সিমটি চালু করার সুযোগ দেওয়া হয়। একই বছরের অক্টোবরে আরেক নির্দেশনায় এই সময় কমিয়ে ১৫ মাস করা হয়।

বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে ১১ সংখ্যার যে মোবাইল নম্বর গ্রাহকরা ব্যবহার করেন তা অপারেটরগুলো সর্বোচ্চ ১০ কোটি পর্যন্ত বিক্রি করতে পারে। কিন্তু অনেক গ্রাহক সিম কিনে ব্যবহার না করা বা বিদেশে চলে যাওয়ায় সেই সিম অব্যবহৃত থেকে যায়। অপারেটররাও সেই সিম অন্য কাউকে দিতে পারে না।

বিটিআরসি’র গত আগস্ট মাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার। তবে বর্তমানে সিটিসেলের সেবা বন্ধ রয়েছে। পৌনে পাঁচশ’ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বাতিল করে দেয় বিটিআরসি।

সম্প্রতি কয়েকটি অপারেটর নির্দিষ্ট সংখ্যার কাছাকাছি সিম বিক্রি চলে যাওয়া এবং নতুন কোডের জন্য আবেদন করায় মালিকানা হারানোর সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।