ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রোগ্রামিং কনটেস্টকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
প্রোগ্রামিং কনটেস্টকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৭’র জাতীয় পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠান

আগামী দিনগুলোতে কম্প‌িউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার কার্যক্রমকে সারাদেশে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে বিশ্বমানের প্রোগ্রামার তৈরির সংস্কৃতি আরও বিকশিত ও বড় হবে। কেবল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা নয়, বড় ইন্ডাস্ট্রিতেও আমাদের সাফল্য ধারাবাহিক  হবে।

রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) মাধ্যমকি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৭’র  জাতীয় পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করনে।

সরকারের আইসিটি বিভাগ আয়োজিত তৃতীয় বারের এই আয়োজনের জাতীয় র্পবে অংশগ্রহণ করে দেশের  ১৯টি আঞ্চলিক র্পব থেকে নির্বাচিত ১ হাজার ২০০জন শিক্ষার্থী।

প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। আগামী দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। এ জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে যার একটি হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা। সে ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৬ষ্ঠ শ্রণেী থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় সকলকে অধ্যয়ন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়কে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্যও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটিতে এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শুক্রবাদ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ  (কেআইবি) তে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা।  

প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নত্তোর পর্ব। পর্বটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান লাফিফা জামাল।

বিকেলে কেআইবি’তে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাগোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদসহ আরও অনেকে উপস্থতি ছলিনে।

পুরস্কার বিতরণী পর্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।   দুই ক্যাটাগরিতে মোট ১১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদশে সময়: ১১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।