প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর হাতে পেয়ে মঙ্গলবারই (১২ সেপ্টেম্বর) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বিকেলে অনুমোদনের কপিটি বিটিআরসিতে এসে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা।
তারানা হালিম বলেন, ‘ফোর-জিতে রোল আউট অবলিগেশন রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রত্যেক মোবাইল ফোন অপারেটর কতোদিনের মধ্যে জেলা-উপজেলায় ফোর-জি চালু করবে, সে পরিকল্পনা দেওয়া আছে’।
ফোর-জিতে নতুন অপারেটরের আসার সুযোগও রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ প্রজন্মের এ সেবার জন্য অপারেটররা প্রস্তুত রয়েছে। বিটিআরসি সব অপারেটরকে নিয়ে ফোর-জি ট্রায়াল করেছে। আমাদেরও সব ধরনের প্রস্তুতি আছে’।
আর তরঙ্গ নিলামের নীতিমালার অনুমোদনের পর ৯০০ মেগাহার্টজ ও ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের জন্য টেক নিউট্রালিটি (প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা) দেওয়া সম্ভব হবে। ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজের জন্য তো আগে থেকেই ছিল- জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাড়তি টু-জি ও থ্রি-জি তরঙ্গ বরাদ্দে নিলামের ভিত্তিমূল্য বাড়িয়ে গত ১১ জুলাই খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এতে দুই বছর আগের ভিত্তিমূল্যের চেয়ে নিলামের ভিত্তিমূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল।
খসড়া নীতিমালায় অব্যবহৃত তরঙ্গ নিলামে প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে ৩৫ মিলিয়ন ডলার, দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের থ্রি-জির তরঙ্গের ক্ষেত্রে ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে ৩০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা ছিল।
২০১৫ সালের মে মাসে তরঙ্গ নিলাম হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই সময় পর পর দুইবার পিছিয়ে আর নিলাম হয়নি। ওই সময়ের নীতিমালায় তৎকালীন বাজার মূল্যে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে তিন কোটি ডলার বা ২৩২ কোটি টাকা ও দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে দুই কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭০ কোটি টাকা।
প্রয়োজনের তুলনায় কম তরঙ্গ বরাদ্দ থাকায় সেবার মান উন্নত করতে পারছে না বলে দাবি করে আসছে অপারেটররা। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শন করে তরঙ্গ নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে ফোর-জি নিলাম চালুর তাগিদ দেন।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তরঙ্গ নিলামের মাধ্যমে কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিয়ে যে কথা হচ্ছিলো, তা দেওয়া সম্ভব হবে। এ বছরই ফোর-জি সেবা ও তরঙ্গ নিলাম করার আশা করছি’।
‘আশা করছি, প্রতিশ্রুতি অনুসারে এ বছরই সমসাময়িক সময়ের মধ্যে দু’টি কাজ করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক আকারে উদ্বোধন করবেন বলেও আশাবাদী আমরা’।
ফোর-জি ও তরঙ্গ নিলাম নিয়ে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি, মোবাইল ফোন অপারেটর ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর