এবার জেনে নেয়া যাক যাত্রা সূচনালগ্ন থেকে বিশ্বসেরা এই মোবাইল ফোনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
আইম্যাক ও আইপডের বিশ্বব্যাপী সফলতার পর ২০০৪ সালে অ্যাপলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার স্টিব জবস মোবাইল ফোনে টাচ প্রযুক্তি প্রবর্তনের জন্য কাজ শুরু করেন।
২০০৮ সালের জুলাইয়ে প্রথম নিজেদের অ্যাপস্টোর ডেভেলপ করে আইফোন। এর আগে থার্ডপার্টি হিসেবে এটিঅ্যান্ডটি আইফোনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করতো।
২০০৮ সালের শেষ দিকে এইচটিসি ড্রিম প্রথম অ্যান্ড্রোয়েড ফোন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। গুঞ্জন আছে অ্যাপলের বোর্ড ডিরেক্টর এরিক স্কমিডিট গুগলের হাতে এই প্রযুক্তি বিকাশের সুযোগ তুলে দিয়েছিলেন। অপারেটিং সিস্টেমের দিক থেকে আইওএস এবং অ্যান্ড্রোয়েডের মধ্যে অনেক বেশি সাদৃশ্য থাকায়, স্টিব জবস তার আত্মজীবনীর লেখক ওয়াল্টার আইজ্যাকসনকে বলেছিলেন, অ্যান্ড্রোয়েড একটি চুরি করা পণ্য।
২০১০ সালে আইফোন নিয়ে আসে জনপ্রিয় ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট সিরি।
২০১০ সালে বাজারে আসে আইফোন ফোর। এতে প্রথমবারের মতো ফ্রন্ট ক্যামেরা যুক্ত করে কোম্পানিটি। শুরু হয় সেলফি নামক উন্মাদনা।
২০১১ সালের ৪ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন স্টিব জবস, যার হাত ধরে আইফোনের যাত্রা শুরু। স্টিব জবসের অনুপস্থিতিতে আইফোন আর আগের মতো বাজার ধরে রাখতে পারবে না বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে আইফোন বর্তমানে আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০১২ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইস্টাগ্রাম কিনে নেয় অ্যাপল।
২০১২ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর তৈরি প্রতিষ্ঠান অথেন্টিককে ৩৫৬ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় অ্যাপল। ফলে অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় অনেক বেশি পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয় অ্যাপল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ