ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অটোমেটিক কার পার্কিং সিস্টেম

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
অটোমেটিক কার পার্কিং সিস্টেম অটোমেটিক কার পার্কিং সিস্টেম- ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলার অন্ত নেই। কিন্তু এমন যদি হয়, গাড়ি নিয়ে কোনো জায়গায় গেলেন আর নির্দষ্ট স্থানে রাখার পরপরই অটোমেটিক পার্কিং হয়ে গেল! তাহলে কতো সুখেরই না হতো বিষয়টা। যত্রতত্র সৃষ্টি হতো না যানজটের। আবার শুনতে হতো না ট্রাফিক পুলিশেরা কড় কথাও।
 

বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী এমন ভাবনা থেকেই তৈরি করেছেন একটি কার পার্কিং সিস্টেম। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অটোমেটিক কার পার্কিং সিস্টেম’।

প্রজেক্ট প্রস্তুতকারীদের ভাষ্যমতে, প্রচলিত পদ্ধতিতে কার পার্কিংয়ে ব্যাপক জায়গায় প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে তা প্রয়োজন হবে না।
 
পৌর এলাকার বা শহরের যেকোনো অফিস বা আবাসিক ভবনের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি কার্ণিশের সঙ্গে অতিরিক্ত ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি বর্ধিত করে ছোট ছোট কামরা তৈরি করলে একটি দশ তলা ভবনে প্রমাণ সাইজের ১’শটি কামরা তৈরি হবে।
 
আর এ সিস্টেমটি তার সঙ্গে এমনভাবে স্থাপন করা হবে, যে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে সেখানে গেলেই সামনে একটা স্ক্রিন ভেসে ওঠবে। তাতে আঙ্গুলের ছাপ এবং গাড়ির নম্বর টুকে দিলেই একটি টোকেন বেরিয়ে আসবে। আর ওই ১’শটি কামরার সুবিধামতো ফাঁকা কামরাটিতে গাড়িটি পার্কিং করে ফেলবে সিস্টেমটি। ঝামেলা চুকে গেল! এবার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ওই টোকেনটি নির্দিষ্ট ডিভাইসে ধরলে গাড়ি অটোমেটিক ওই কামরা থেকে বেরিয়ে আসবে।
 
প্রজেক্ট প্রস্তুতকারীরা বলছেন, এতে খরচও কমে যাবে ৫০ শতাংশ। আবার সময়ও কমে যাবে। এছাড়া এটি পরিবেশবান্ধব। এই সিস্টেমটি অফিস, আবাসিক ভবন, এয়ারপোর্ট, শপিং মল, ট্রানজিট সেন্টার ইত্যাদির জন্য উপযোগী।
 
প্রজেক্ট প্রস্তুকারীদের একজন আব্দুর রউফ। বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ সেশনের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী। মূলত যত্রতত্র পার্কিং এবং পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়, তা লাঘবের চিন্তা থেকেই প্রজেক্টটি বানিয়েছেন তারা।
 
অটোমেটিক পার্কিং সিস্টেমটির প্রদর্শনী মিলেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন মিলনায়তনে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামী নাহিদ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন। দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা পলিটেকনিক্যাল থেকে ৩০টি প্রজেক্ট এখানে প্রদর্শনীতে এনেছে শিক্ষার্থীরা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বায়ু দূষণ রোধ, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ কাজের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সৌর বিদ্যুতের অটোরিকশা, নিরাপদ রেল, কম খরচে কম্পিউটার, সাশ্রয়ী গ্যাসের চুল প্রভৃতি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।