ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে নারীর নিরাপত্তা শিক্ষার ধারণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে নারীর নিরাপত্তা শিক্ষার ধারণা টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বাংলাদেশ রাউন্ড এর গ্র্যান্ড ফিনালে। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বাংলাদেশ রাউন্ড থেকে নারীর নিরাপত্তা ও শরণার্থীদের শিক্ষার ধারণা বিষয়ক ধারণা আগামী ডিসেম্বর মাসে নরওয়ের অসলোতে বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে’তে বাংলাদেশের চূড়ান্ত নির্বাচনী পর্বে আইবিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়া মো খেইং ও রাকিব রহমান শাওনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এর আয়োজক ছিল গ্রামীণফোন।


 
নোবেল পিস সেন্টার (এনপিসি) ও টেলিনর গ্রুপ আয়োজিত ইয়ুথ ফোরাম ১৩টি দেশের ১৮-২৮ বছরের তরুণ-তরুণীদের জীবন বদলানো ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। ফোরামের মূলভাব ‘শান্তির জন্য ডিজিটালকরণ’।
 
এ বছর ১৪০০ এর বেশি এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আবেদন করে। বাংলাদেশ পর্বে চলতি বছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হচ্ছে ‘মুক্তি’ এবং ‘মেক দেম স্ট্রং’। মিয়া মো খেইং ও রাকিব রহমান শাওনের ধারণা দুটিকে নির্বাচন করে জুরি বোর্ড।
 
কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সাত জন প্রতিযোগী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা এবং অতিথিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেলের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে। দুজনকে ৮-১১ ডিসেম্বর অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়। সে সময় অসলোতে নোবেল শান্তি পুরষ্কারও দেয়া হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন। আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
 
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা, ডিজিটাল ও সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্ম থেকে শেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ।
 
তরুণ-তরুণীদের ধারণা এবং উদ্ভাবনগুলো  বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিসেল ব্লেকেন বলেন, টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এবং ডিজিটালাইজেশন ফর পিস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এদের বাস্তবায়ন করতে আমি আহবান জানাই।
 
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, আজকে যেসব অসাধারণ ধারণা উপস্থাপিত হয়েছে তা আমাকে উজ্জীবিত করেছে। কারণ এর সবগুলোই বাংলাদেশকে আরো ভালো একটি দেশে পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
 
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে অসলোতে তিনদিনের সম্মেলনে মিলিত হবে। সেখানে তারা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার এবং তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। পাশাপাশি তারা নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারও সুযোগ পাবে।
 
চলতি বছরের মে মাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৭-এর সূচনা ঘোষণা করে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী এবং আগ্রহী প্রতিযোগীদের টেলিনর কিংবা গ্রামীণফোনের ওয়েবপেজ ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ধারণাপত্র জমা দিতে আহবান জানায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।