ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফেসবুক বন্ধ করার কথা বলিনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
ফেসবুক বন্ধ করার কথা বলিনি সংসদে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ (ফাইল ফটো)

সংসদ ভবন থেকে: পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুক বন্ধ করার কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, পরীক্ষার সময় ফেসবুক ব্ন্ধ করার কোনো কথা বলিনি, বন্ধ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। 

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আসে, শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুক বন্ধের কথা বলেছেন।

কিন্তু বিষয়টি পরিষ্কার করে নাহিদ বলেন, আমি এই কথা কখনো বলিনি যে, আমরা ফেসবুক বন্ধ করে দেবো। এই ক্ষমতাও আমাদের নেই।

তিনি বলেন, আগে প্রশ্নপত্র বিজি প্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) থেকে ফাঁস হয়ে যেতো। সেখানে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এখন সেখান থেকে প্রশ্নফাঁস হয় না। তবে দেড় মাস ধরে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হয়। তাই দীর্ঘ দিন হাজার হাজার কেন্দ্রে পাহারা দিয়ে প্রশ্ন রাখা বড় কঠিন কাজ। ওই প্রশ্নগুলো যখন স্কুলে পৌঁছায়, কিছু শিক্ষক আছেন, তারা প্রশ্ন বিলির আগে খুলে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। আমরা এই জায়গাটায় আটকে গেছি। তাই বলেছি, বিটিআরসি’র (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) সঙ্গে আলাপ করবো। তারা ওই প্রক্রিয়ায় কোনো সহযোগিতা করতে পারেন কি-না।

‘বিটিআরসিকে বলেছি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা কয়েকঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখতে পারেন কি-না, সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। বিটিআরসি জানিয়েছে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে এসব প্রশ্ন আসে, তাই পরীক্ষার সময়টাতে তারা সেখানে লোক নিয়োগ করে রাখবেন। কাজেই পরীক্ষার সময় যদি কিছু হয়, তাৎক্ষণিকভাবে জানাবেন, সে অনুসারে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা কখনো বন্ধ করে ফেলবো, এই কথা বলতে পারি না, আমাদের ক্ষমতাই নেই। বিটিআরসি বলেছে সহযোগিতা করবে, তারা বলেছে বন্ধ না করেও অন্যভাবে সহযোগিতা করবে। জনগণের ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য আমরা কিছু বলিনি। ’

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে।  

‘পাবলিক পরীক্ষা আইন, ১৯৮০ (সংশোধিত ১৯৯২) এর ধারা ৪ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধীকে অন্যূন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর রয়েছে। ’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে এরইমধ্যে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র আপলোডকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলা হয়েছে।  

**দ্রুত বিচার আইন পাসের সুপারিশ
**চার বছরে সরকারি প্লট-ফ্ল্যাট পেয়েছেন ১৭৯ এমপি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।