ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সারাদেশ থেকে বিনা মাশুলে মৌসুমি ফল পরিবহন করবে ডাকঘর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২০
সারাদেশ থেকে বিনা মাশুলে মৌসুমি ফল পরিবহন করবে ডাকঘর

ঢাকা: দেশব্যাপী ডাকঘরের বিশাল পরিবহন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে বিনা ভাড়ায় প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত আম ও লিচু ঢাকার পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর।

ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীর বিভিন্ন মেগাসপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কৃষকের হাতে পৌঁছে যাবে।

দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকা ফেরত গাড়িগুলো বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহনে সরকারের বাড়তি কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না।

কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার (২ জুন) থেকে রাজশাহী অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত আম পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বেইলি রোডের তার সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহীর পুটিয়া উপজেলা সম্মেলন কক্ষে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র রাজশাহীতে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে মধুপুর থেকে আনারস পরিবহনসহ চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। করোনা সঙ্কটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাগুলো সহজতর করতে সরকার ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাকসেবা চালু করেছে। এছাড়া বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোতে পৌঁছানোসহ জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ ডাকসেবা চালু করা হয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে, তা পানির দামে বিক্রি করে। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়া তাদের অধিকার।

কৃষকদের জন্য আগামী বাজেটে প্রণোদনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়াসহ সরকার ঘোষিত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। এসবেরই ধারাবাহিকতায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়া নিশ্চিত করতে আমাদের এ উদ্যোগ। সরকারের এ উদ্যোগ প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বলেন, বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের আম পরিবহনে সরকারের উদ্যোগ এ অঞ্চলের প্রান্তিক আম চাষিদের জন্য খুবই সহায়ক একটি কমসূচি।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৩১ মে থেকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে বিনা ভাড়ায় লিচু পরিবহন চালু করা হয়। করোনার বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মন্ত্রীর নির্দেশে গত ৯ মে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা থেকে কৃষকবন্ধু নামে এ কর্মসূচি চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে পুটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক অসিত কুমার শীল, রাজশাহীর পোস্টমাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক, পুটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়ালিউজ্জামান, রাজশাহীর ডিপিএমজি ওয়াহিদ-উজ-জামান, রাজশাহী জিপিওর সিনিয়র পোস্টমাস্টার আমিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন্নাহার ভূইয়া, ওসি রেজাউল ইসলাম এবং কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে নওশের উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।