আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা ও চীনের শীর্ষ ধনী জ্যাক মা সপরিবারের জাপানের রাজধানী টোকিওতে আত্মগোপনে রয়েছেন। দেশটির প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী শীর্ষ ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের কারণে নিজের নিরাপত্তায় তিনি এই কৌশল নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুই বছর আগে ২০২০ সালে সাংহাই সামিটে চীনা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈষম্যমূলক নীতির সমালোচনা করেন জ্যাক মা। এরপর চীনা সরকার আলিবাবার সহযোগী আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপের প্রায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আইপিও স্থগিত করে শেয়ারবাজারে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়। তার পর থেকেই অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান জ্যাক মা।
জাপানের সামিটে জ্যাক মার সমালোচনামূলক বক্তব্যের পর তার কোম্পানির প্রতি চীনা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়াকড়িতে জ্যাক মার সম্পদের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন থেকে ২১ বিলিয়নে নেমে এসেছে। কয়েক মাস পরেই অসম প্রতিযোগিতার অভিযোগ এনে আলিবাবাকে ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে চীনা সরকার আলিবাবার মালিকানাধীন গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেও জ্যাক মার প্রতি নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জনসাধারণের কাছ থেকে চলে যাওয়ার পর গত বছর ৪৮ সেকেন্ডের একটি অনলাইন ভিডিওতে জ্যাক মাকে দেখা যায়। তবে সেই ভিডিও নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে যে, ভিডিওটি তাকে জিম্মি অবস্থায় করা হয়েছে। জ্যাক মাকে নানান সময়ে নেদারল্যান্ডস ও স্পেনে দেখা গেলেও নিজ দেশ চীনকে তিনি এড়িয়ে চলেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জ্যাক মা গত ৬ মাস ধরে সপরিবারে জাপানে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি দেহরক্ষীসহ খুব গোপনীয়তার সঙ্গে কোম্পানির গুটিকয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমজেএফ