ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করার শক্তি ফুরিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের। রাশিয়ার ভেতরে চোরাগোপ্তা হামলা বাড়তে থাকায় এমনটিই বোঝা যাচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’ নামের ওই হামলাগুলোকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করছে। তাদের দাবি, হামলাগুলো রাশিয়ার কৌশলগত যুদ্ধবিমান চলাচলের গুরুতর ক্ষতি করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচটির মধ্যে তিনটি হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে, কোনো ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বাকি দুটি হামলায় বিমানে আগুন ধরে যায়, যা দ্রুত নিভে যায়। কোনো বিমানের ক্ষতির বিষয় নিশ্চিত করেনি মন্ত্রণালয়।
ওইসব ছাড়াও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ান অঞ্চলে দুটি সেতু উড়িয়ে দেওয়া হয়। একটি বিস্ফোরণে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সাতজন নিহত এবং আরও ৭১ জন আহত হয়। রাশিয়ান তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার জানায়, দুটি ঘটনাই ছিল সন্ত্রাসী হামলা। বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের মাত্রা বাড়াতে ইউক্রেন পরিকল্পনাগুলো করেছিল। সোমবার ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলা চালানো হয়।
ভ্যাটফোর প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক পোলেতায়েভ মনে করছেন, ইউক্রেন তার শেষ সম্বল নিয়ে হাজির হয়েছে। দেশটির ওইসব নাশকতাকে তিনি ‘নজিরবিহীন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেন।
পোলেতায়েভের মতে, চলমান সহিংসতা রাশিয়ান-ইউক্রেনীয় আলোচনাকে স্থবির করে দেবে। আলোচনায় উভয় পক্ষের তোলা দাবিগুলো কেবল তাদের সামরিক উপায়ে প্রয়োগ করার ক্ষমতার মতোই বাস্তবসম্মত বলে তিনি মত দেন।
পোলেতায়েভ মনে করেন, ইউক্রেন এবং তার ইউরোপিয় ইউনিয়নের সমর্থকরা মরিয়া হয়ে সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া আটকাতে চাইছে। কারণ রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘাতে মার্কিন যুক্ততা কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে।
সূত্র: আরটি
এমএইচডি/এমএম