মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘ তিন বছর ‘জিরো কোভিড নীতিতে’ ছিল এশিয়ার দেশ চীন। পরে নাগরিকদের বিক্ষোভের মুখে মাসখানেক আগে ওই জায়গা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় শি জিনপিং।
গত বছর মারাত্মকভাবে ধুঁকেছে চীনের অর্থনীতি। কোভিড নীতির জেরে প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি দেখেছে দেশটি। জিরো কোভিড নীতি চীনের ব্যবসাকে যে প্রভাবিত করেছে, তা এতেই স্পষ্ট হয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির জিডিপি বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। তবে বেইজিংয়ের পূর্বাভাস ছিল, বছরটিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি হয়নি।
১৯৭৬ সালে চীনের জিডিপিতে এমন নিম্নমুখী লক্ষ্য করা যায়। মাও সেতুর মৃত্যুর বছরে দেশটির জিডিপি মাইনাস ১ দশমিক ৫৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। এরপর থেকে দেশটির জিডিপি ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে।
তবে মহামারির প্রভাবে ২০২০ সালে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে পরের বছর প্রবৃদ্ধি গিয়ে ঠেকে আট শতাংশে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর কঠোর নীতি দেশটির অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ওপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। তবে বিধিনিষেধ শিথিলে জিডিপিতে ফের উল্লম্ফন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকহারে বাড়ছে।
নানা সংকটের কারণে ২০২৩ সালে বিশ্ব মন্দায় পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি কমার জন্য মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র- বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচএস