দাউদ ইব্রাহিমের ভাগনে আলিশাহ পারকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
হাসিনা পারকারের সন্তান আলিশাহ জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পরও দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানি পাঠান এক নারীকে বিয়ে করেছেন।
এনআইএ বলছে, তাদের কাছে আলিশাহ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের করাচির আরেকটি স্থানে এই গ্যাংস্টার অবস্থান নিয়েছেন।
সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে দাউদ ইব্রাহিম ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে এএনআই। এই মামলায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনআইএ তথ্য পেয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম বিশেষ একটি দল গঠন করছে, যেটি দেশের বড় বড় নেতা ও ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। পাশাপাশি বড় বড় শহরে তারা সহিংসতা ছড়াতে পারে। এই মামলার তদন্তকালে দাউদের বোন হাসিনা পারকারের ছেলে আলিশাহ পারকারের জবানবন্দি নিয়েছে এনআইএ।
আলিশাহ নিজের জবানবন্দিতে বলেছেন, দাউদরা মোট পাঁচ ভাই ও চার বোন। দাউদ সবাইকে বলছেন, তিনি প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনকে তালাক দিয়েছেন দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য। কিন্তুই তিনি তা করেননি। ঠিকানা বদলে দাউদ এখন করাচিতে গাজি বাবা দরগার পেছনে একটি এলাকায় থাকছেন।
জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, ২০২২ সালের জুন মাসের দিকে দাউদ তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দুবাইয়ে দেখা করেন। তিনি দুবাইয়ে জাইতুন হামিদ আন্তুলির বাড়িতে ছিলেন।
জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাউদ ইব্রাহিম ও তার প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনের তিন মেয়ে রয়েছে। তাদের নাম- মারুখ (জাভেদ মিয়াদাদের ছেলেকে বিয়ে করেছেন), মেহরিন ও মাজিয়া (অবিবাহিত)। ছেলের নাম মহিন নওয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
আরএইচ