ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের একেবারে কাছে ছিল: পম্পেও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের একেবারে কাছে ছিল: পম্পেও

ভারত ও পাকিস্তান ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারমাণবিক উদ্দীপনার একেবারে কাছে চলে এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও তার নতুন আত্মজীবনীতে এমনটিই জানিয়েছেন।

 

কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলার জেরে পাকিস্তানি অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দিল্লির পাল্টা হামলা চালানোর ঘটনার পর এমনটি হয়েছিল। বিবিসি।

পাকিস্তান তখন বলেছিল, তারা ভারতের দুটি সামরিক জেট বিমান ভূপাতিত করেছে এবং একজন পাইলটকে আটক করেছে। ভারত ও পাকিস্তান পুরো কাশ্মীরের দাবি করলেও আংশিক শাসন করতে পারে।  

ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, পাকিস্তান কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। তবে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।

পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী ১৯৪৭ সালে বিভক্তির পর থেকে এই পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল শুধু কাশ্মীর নিয়েই।  

‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চ: ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’ শীর্ষক আত্মজীবনীতে পম্পেও জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব যে পারমাণবিক যুদ্ধের কাছে চলে গিয়েছিল, তিনি মনে করেন, বিশ্ব প্রকৃতপক্ষে তা জানে না।  

তিনি লেখেন, সত্য হলো, আমি সঠিকভাবে অন্য কোনো উত্তর জানি না, আমি শুধু জানি, এটি খুব কাছাকাছি ছিল।  

পম্পেও লেখেন, সেই রাতের কথা তিনি ভুলতে পারবেন না। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে হ্যানয়ের একটি সম্মেলনে তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যখন আলোচনা করছিলেন, তখন ভারত ও পাকিস্তান তাদের কয়েক দশকের দ্বন্দ্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চল কাশ্মীর নিয়ে একে অপরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল।  

ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলায় ৪০ জন সৈনিক নিহত হন। পম্পেও লেখেন, এটি ছিল একটি জঙ্গি হামলা... পাকিস্তানের শিথিল সন্ত্রাস-বিরোধী নীতির ফলেই সম্ভবত আংশিকভাবে সক্ষম হয়েছিল। ভারত এর জবাবে পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তান ভারতের উড়োজাহাজ ভূপাতিত করে এবং ভারতীয় পাইলটকে আটক করে।  

পম্পেও লেখেন, হ্যানয়ে তিনি তার ভারতীয় কাউন্টারপার্টের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেশ সতর্ক ছিলেন। তবে এই কাউন্টারপার্টের নাম জানা যায়নি।     

তিনি লেখেন, ওই ব্যক্তির বিশ্বাস ছিল পাকিস্তান হামলার জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করছে। তিনি জানান, ভারতও নিজের দিক থেকে বাড়ানোর কথা ভাবছিল। আমি তাকে কোনো কিছু না করতে বলেছিলাম। তাকে বলি একটু সময় দিন।  

পম্পেও লেখেন, পরে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টনের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে তাকে তা বলেন, ভারতীয়ের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছিল।

তিনি লেখেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। আমাদের দল নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ- দুই পক্ষকে বোঝানোর ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করেছিল।  

তিনি লেখেন, ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে ওই রাতে আমরা যা করেছিলাম, অন্য কোনো দেশ তা করেনি।  

পম্পেওর এসব দাবি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।