শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত এক হাজার ৯৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল তুরস্কের শহর গাজিয়ান্তেপে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও কয়েকটি কম্পন টের পাওয়া গেছে। তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের কোটি মানুষ ভূমিকম্পটি টের পেয়েছেন।
তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় ১০ শহর ও প্রদেশে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন। শহরগুলো হলো- খবর বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, কাহরামানমারাস, হাতায়, গাজিয়ানটেপ, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্যা, শানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির, কিলিসের স্কুলগুলোকে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থগিত করা হয়েছে হাতায় প্রদেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো। মারাস ও আন্তেপের বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে ১ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির ধারণা ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় সিরিয়ায় মারা গেছেন ৪৬৭ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পের ঘটনায় টুইট করে ভুক্তভোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অনুমান করা যাচ্ছে না। আশা করছি দ্রুতসম্ভব আমরা কম ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্যোগটি একসঙ্গে কাটিয়ে উঠবো। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য ইউনিট সতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
এমজে