যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার প্রত্যক্ষ পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মস্কো।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর প্রতি ওয়াশিংটনের ক্রমাগত বিদ্বেষী আচরণের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা তাস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দপ্তরের পরিচালক ভ্লাদিমির ইয়েরমাকভ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার প্রতি সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে অটল থাকে ও ক্রমাগত সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে নতুন স্টার্ট চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়বে।
ইয়েরমাকভ আরও বলেন, ওয়াশিংটন যদি বিশ্বের দুটি শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের দেশের পরিস্থিতিকে সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় তখন নতুন স্টার্ট চুক্তির ভাগ্য নয় বরং গোটা বিশ্বের ভাগ্য আশঙ্কার মধ্যে পড়বে।
২০১০ সালের এপ্রিলে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ওই সময়কার রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ নতুন স্টার্ট চুক্তিতে সই করেন। ওই চুক্তিতে দু’দেশ তাদের কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এবং মোতায়েন করা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সম্মত হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার রুশ সমকক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সংঘাতপূর্ণ নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়া চুক্তিটি স্থগিত করে দেয়। অবশ্য চুক্তিটি থেকে এখনও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়নি মস্কো।
রাশিয়া বলেছে, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যার ওপর যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলবে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
এমএইচএস