কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার এ তথ্য জানিয়ে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ, (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার জন্য একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমরা মন্ত্রিসভা এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করব।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করা এবং দাঙ্গা উসকে দেওয়াসহ অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের তারার বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা উচিত এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।
ইমরান খানের উপদেষ্টা জুলফিকার বুখারি ডিডব্লিউকে বলেছেন, সরকার নিজেদের পায়ে গুলি করছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ও পিটিআইকে জাতীয় পরিষদের বৃহত্তম দল হিসেবে সমর্থন করেছে।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খান প্রায় এক বছর ধরে কারাবন্দি আছেন।
খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং তার তৃতীয় বিয়ে সংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কয়েকদিন পর সোমবার এ ঘোষণা আসে। দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খান কারাগারে রয়েছেন।
শতাধিক মামলায় একাধিক অভিযোগের মুখোমুখি সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকটি মামলায় তার সাজা এবং দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। পরে আদালত দ্বারা স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।
ইমরান খান দাবি করেন, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার ক্ষমতায় ফেরা ঠেকাতে এসব করা হয়েছে।
পিটিআইকে এ বছরের শুরুতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, এর সদস্যদের স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়েছিল। নির্বাচনে প্রার্থীরা ৯৩ আসন পেয়ে সংসদে বৃহত্তম একক দল হিসেবে দলের অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়।
দলটি দাবি করেছে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হওয়া ঠেকাতে নির্বাচনের দিন ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে পিটিআইকে সংসদে কমপক্ষে ২০টি আসনে ভোটকারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
জেএইচ