গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৫ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে এমনটি জানিয়েছে।
সোমবারের হতাহতদের মধ্যে ১৩ জন গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিম দিকে জাতিসংঘ পরিচালিত শাতি শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ৯ জনের প্রাণ যায়।
গাজা সিটির উত্তর দিকে একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র (প্যালইনফো) এমনটি জানিয়েছে। এটি আরও বলছে, গাজা সিটির দক্ষিণ দিকের সাবরা অঞ্চলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বাড়িতে বাড়িতে গুলি করছিল।
উত্তর গাজায় অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ১১ শিশু নার্সারি ও নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে রয়েছে। জ্বালানি স্বল্পতায় আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।
গাজা থেক আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, আবু সাফিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শিশুদের মধ্যে নবজাতকরা উত্তর গাজায় জ্বালানি না প্রবেশ করা পর্যন্ত ঝুঁকিতে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গাড়ি বহর জ্বালানি ও ওষুধ নিয়ে উত্তর গাজার দিকে যাচ্ছে। তবে তারা এখনো তারা ইসরায়েলি বাহিনীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় তল্লাশি চৌকিতেই আটকে আছে। এ কারণে তাদের হাসপাতালে যাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ৩৩টি চিকিৎসা স্থাপনা বন্ধ হয়েছে। বাকি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম চালু রাখতে দিনে চার হাজার লিটার জ্বালানি প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
আরএইচ