মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
তিনি ইউরোপীয় নেতাদের বাক-স্বাধীনতা হ্রাস, দুর্বল অভিবাসন নীতি এবং প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেওয়া এক ভাষণে ভ্যান্স বলেন, জনগণের উদ্বেগকে উপেক্ষা করা, মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া, নির্বাচন বাতিল করা বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে মানুষকে বাদ দেওয়া গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার সবচেয়ে নিশ্চিত উপায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবেন।
তার ভাষণে ভ্যান্স ইউরোপীয় নেতাদের সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং খ্রিস্টানদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
তিনি বিশেষভাবে রোমানিয়ার ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিলের ঘটনা এবং সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় একজনকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। যা তার মতে বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাজ্যের সমালোচনা করে বলেন, দেশটি ধর্মীয় অধিকার থেকে সরে এসেছে, কারণ তারা গর্ভপাত ক্লিনিকের বাইরে গর্ভপাত বিরোধী আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করছে।
ভ্যান্স জার্মানির মূলধারা রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তারা ডানপন্থী, অভিবাসন-বিরোধী দল অ্যালটারনেটিভ ফর জার্মানি (এফডি) এর সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করছে। জার্মানরা এই রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার নীতিকে ডানপন্থী নিউ নাৎসিদের উত্থানের বিরুদ্ধে ‘ফায়ারওয়াল’ বা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল বলে বিবেচনা করে।
ভ্যান্সের এই বক্তব্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, তিনি ভ্যান্সের এই বক্তব্যের জবাব চাইবেন।
তিনি বলেন, যদি আমি তাকে সঠিকভাবে বুঝে থাকি, তাহলে তিনি ইউরোপের কিছু অংশের পরিস্থিতিকে স্বৈরাচারী শাসনের সাথে তুলনা করছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমরা যে ইউরোপে বাস করি এবং সমর্থন করি তা অবশ্যই স্বৈরাচারী নয়।
বাংলাদেশ সময়:১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
এমএম