ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে, শনিবার ১১৯ জন ভারতীয়কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ১০ দিনের মধ্যে এটিই দ্বিতীয়বারের মত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো হলো।
এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০৪ জন ভারতীয়কে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে করে অমৃতসরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তৃতীয় আরেকটি ফ্লাইটে করে আরও ১৫৭ জনকে রবিবার ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানটি ভারতের অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ফেরত আসা ভারতীয়দের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, তিনজন উত্তর প্রদেশের, দুইজন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং একজন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এসেছেন। বিমানবন্দরে তাদের পরিবারের কিছু সদস্য তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন।
অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ে আমেরিকা থেকে অমৃতসরে প্রথম বিমানটি নেমেছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। অভিযোগ ওঠে, বিমানের মধ্যে হাতকড়া পরিয়ে ও পায়ে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল অবৈধ ১০৪ জনকে। ভারতে পৌঁছানোর পরেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনা ভারতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে।
এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, যেন ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের সঙ্গে যেন কোনো খারাপ আচরণ করা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়, এটা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোনো ভারতীয় নাগরিক যদি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে, তবে ভারত তাদের ফিরিয়ে নেবে। তিনি মানব পাচার বন্ধ করার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে তাদের দেশের অভিবাসন আইন কার্যকর করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো ও এল সালভাদরের পরেই অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার দিক থেকে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।
সূত্র: এনডি টিভি
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
এমএম