ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক বিষয়ে ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নেবে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৬, এপ্রিল ২, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক বিষয়ে ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’  নেবে ভারত

যে দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে যতটা শুল্ক চাপিয়ে থাকে, ২ এপ্রিল থেকে সেই দেশের পণ্যে ততটাই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিনটিকে আগেই আমেরিকার ‘মুক্তি দিবস’ হিসাবে ঘোষণা হিসেবে করেছেন তিনি।

 

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় এই ‘পাল্টা শুল্ক’ নিয়ে সবিস্তার জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে দিকে নজর গোটা বিশ্বের।   পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতও। অবস্থা বুঝে বিকল্প উপায় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে চাইছে নয়াদিল্লি।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই ‘পাল্টা শুল্ক’ কার্যকর হয়ে যাবে। ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, আমেরিকার জনগণের জন্য যাতে দুর্দান্ত একটি শুল্ক চুক্তি হয়, তার জন্য সারা দিন অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হলে মার্কিন অর্থনীতিতে কেমন কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের থেকে জানানো হয়েছে, কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সংশ্লিষ্ট দেশে উৎপাদিত পণ্যে শুল্কের হার কমানোর অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাতে সাড়া দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে ৫০ শতাংশ, জাপান আমেরিকায় উৎপাদিত চালে ৭০০ শতাংশ, ভারত আমেরিকার কৃষিজাত পণ্যে ১০০ শতাংশ, কানাডা আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রায় ৩০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যে সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করতে পারেন ট্রাম্প।  

ভারত বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ও ধৈর্যশীল অবস্থান নিয়েছে। অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশগুলো যেখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, ভারত সেখানে প্রথমে আসল প্রভাব পর্যালোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে চায়।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সম্ভাব্য চারটি ভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করেছেন এবং সেগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন। যদি শুল্ক শুধু নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর বসানো হয়, তাহলে চীন, মেক্সিকো, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে ভারতীয় রপ্তানি তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারে।  

তবে, যদি পুরো শিল্প খাতের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে ভারতসহ সব দেশকেই বাড়তি উৎপাদন খরচ ও কম লাভের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর যদি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে বা গৌণ শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতিও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের মুখে পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা মনে করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।