ঢাকা, বুধবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নাৎসিবাদের রাজধানী এখন কিয়েভ, দাবি মাদুরোর

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৩৪, মে ১৩, ২০২৫
নাৎসিবাদের রাজধানী এখন কিয়েভ, দাবি মাদুরোর

ইউক্রেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উদযাপন করায় ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানির নেতাদের নিন্দা জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে তিনি নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বৈশ্বিক রাজধানী হিসেবে বর্ণনা করেন।

গত ৯ মে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে অংশ নিতে রাশিয়া যান মাদুরো। সেখান থেকে ফিরে তিনি ওই মন্তব্য করেন। সফরকালে তিনি মস্কো এবং কারাকাসের মধ্যে একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

সোমবার (১২ মে) কন মাদুরো প্লাস টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি বলেন, মস্কোর রেড স্কোয়ারে কুচকাওয়াজ এবং অন্যান্য স্মারক অনুষ্ঠান এখন খুব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটছে। তিনি আরও বলেন, কিয়েভ নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বৈশ্বিক রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে নাৎসিপন্থী সরকার শাসন করে বলে মাদুরো অভিযোগ তোলেন।

ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সরকারকে নাৎসি ধারার রক্ষক উল্লেখ করে মাদুরো বলেন, ওই সরকার ইউক্রেনের জনগণ এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণকে নির্মূল করে। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যাৎস বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য কিয়েভকে বেছে নেওয়াকে দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মাদুরো আরও বলেন, পশ্চিমারা, তাদের সভ্যতার অবক্ষয় কেবল মিথ্যার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ঢেকে রাখতে, মুছে ফেলতে, ধ্বংস করতে চায়। নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের লাল ফৌজের বিজয়ের যে বীরত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, তা মহান সত্য।

কিয়েভ সফরের সময়, ফরাসি, ব্রিটিশ এবং জার্মান নেতারা দাবি তোলেন, রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে, অথবা আরও নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হবে। এ নিয়ে মাদুরো বলেন, ম্যাক্রোঁ, স্টারমার এবং ম্যাৎস যুদ্ধের উস্কানি উদযাপন করতে কিয়েভে যান, তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ‘ইতিহাসের কাছে পরাজিত’ বলে মাদুরো মন্তব্য করেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার (১১ মে) মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করার প্রস্তাব দেন, যেন সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যায়। পুতিনের আশা, আলোচনাটি আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তার ওই প্রস্তাবকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন করেন। সোমবার তিনি বলেন, সম্ভাব্য আলোচনা ‘ভালো ফলাফল’ আনতে পারে।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।