গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ প্রায় ৯০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠিয়েছে।
বুধবার (২১ মে) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
গত মার্চে দখলদার ইসরায়েলের নতুন করে হামলা শুরুর পর এই প্রথম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ত্রাণ গাজায় পৌঁছাল।
ডুজারিক জানান, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো কারেম আবু সালেম ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে।
ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজা প্রায় পুরোপুরি বাইরের বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ফলে সেখানে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো জরুরি হয়ে পড়ে।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর অবরোধের কারণে ইতোমধ্যে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
অপুষ্টি, খাদ্য ও ওষুধের সংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মাত্র ৮০ দিনে গর্ভপাত হয়েছে ৩০০ জনের বেশি নারীর, যা গভীর উদ্বেগজনক।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, বুধবার ৮৭টি ট্রাক গাজায় পৌঁছেছে। ত্রাণবাহী এসব যানবাহন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ইসরায়েল তিন দিন আগে সীমিত আকারে কারেম আবু সালেম ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরই এই রসদ সরবরাহ সম্ভব হয়।
তবে ত্রাণ পৌঁছালেও গাজার সার্বিক মানবিক পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে আরও ৮২ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
অঞ্চলটিতে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট বিরাজ করছে।
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় প্রবেশ করা ত্রাণ এখনকার বাস্তব প্রয়োজনে যথেষ্ট নয়। চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, কিন্তু সহায়তা আসছে অপ্রতুল হারে।
এমএইচডি/এমজে