ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওমান, কাতার ও ইরাক।
দেশগুলো হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে—এই ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ওমান সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিল। দেশটি মার্কিন হামলাকে অবৈধ আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তারা মনে করে এ ধরনের আক্রমণ সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। ওমান এটিকে জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে।
কাতার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে, তা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে ধ্বংসাত্মক পরিণতি আনতে পারে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, সামরিক অভিযান বন্ধ করে দ্রুত কূটনৈতিক পথে সমস্যার সমাধানে ফিরে যেতে হবে।
ইরাকও হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। বাগদাদ মনে করে, এই সামরিক উত্তেজনা আরও বড় সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এতদিন দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছিল। সবশেষ এই সংঘাতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরএইচ