ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কক্ষপথে উৎপন্ন লেটুসপাতা খেলেন নভোচারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
কক্ষপথে উৎপন্ন লেটুসপাতা খেলেন নভোচারীরা

ঢাকা: প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে উৎপন্ন সাইট্রিক অ্যাসিড সম্পন্ন লেটুস পাতা খেলেন নভোচারীরা।

সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station-ISS) অবস্থানরত নাসার নভোচারীরা মহাশূন্যের কক্ষপথে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপন্ন লেটুস খান।



মূলত দীর্ঘ মেয়াদে মহাশূন্যে অবস্থান করতে হলে নভোচারীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই যাতে তৈরি করতে পারেন, তারই অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

এই পরীক্ষার নাম দেওয়া হয়, নাসা’জ প্ল্যান্ট এক্সপেরিমেন্ট ভেজ-০১ ইন দ্য ভেজি প্ল্যান্ট গ্রোথ সিস্টেম।

নাসা পরিকল্পনা করছে, মঙ্গলে যখন মানুষ যাবে এবং যারা মহাশূন্যে অবস্থান করবেন, তখন তারা যাতে নিজেদের খাবার  নিজেরাই উৎপন্ন করতে পারেন, তারই প্রস্তুতিমূলক কাজ এটি।

এ বিষয়ে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানী ডা. জিয়োইয়া মাসা বলেন, পূর্বপুরুষ হিসেবে এবং অনেকদিনের জন্য যারা মঙ্গলগ্রহে যাবেন, তাদের কৃষিকাজ করে নিজেদের খাবার উৎপন্ন করতে হবে। তখন তারা এ ধরনের লেটুস জাতীয় সবজি যাতে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, তা উৎপন্ন করে খেতে পারবেন। তা ছাড়া সেখানকার পরিবেশকে পরিশোধিত করতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে এই লেটুস গাছ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দীর্ঘ মেয়াদে পৃথিবীর বাইরে থাকতে হলে এই ধরনের গাছের উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের শস্যের ধরন এবং পরিমাণ বাড়িয়ে উৎপন্ন করবো। আমরা দেখতে চাই, অতিক্ষুদ্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বলয়ে এ ধরনের হালকা শস্যের ওপর এর কী প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে এর পুষ্টিগুণ ও স্বাদে। পৃথিবীতে কী রকম হয় আর মহাশূন্যেই বা কী রকম হয়, তা আমরা দেখতে চাই।

যে লেটুস গাছ মহাশূন্যের কক্ষপথে উৎপন্ন করা হয়, তা ৮ জুলাই রোপণ করা হয়। এরপর ৩৩ দিন ধরে বেড়ে ওঠার পর সোমবার তা নভোচারীরা লেটুস পাতার স্বাদ গ্রহণ করেন।



বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।