ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাতিল নোটে খোরপোষ দিতে চাওয়ায় স্বামী শ্রীঘরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
বাতিল নোটে খোরপোষ দিতে চাওয়ায় স্বামী শ্রীঘরে

বিয়ের পর থেকেই নানা টানাপোড়েন, অনেক বছর ঘর করেছেন এসব সহ্য করেই। কিন্তু শেষ বয়সে এসে সে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে বেছে নিলেন বিচ্ছেদের পথ। কিন্তু এবার নতুন ঝামেলা সৃষ্টি...

ঢাকা: বিয়ের পর থেকেই নানা টানাপোড়েন, অনেক বছর ঘর করেছেন এসব সহ্য করেই। কিন্তু শেষ বয়সে এসে সে সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

তাই বাধ্য হয়ে বেছে নিলেন বিচ্ছেদের পথ।

কিন্তু এবার নতুন ঝামেলা সৃষ্টি করেছে ভারত সরকারের বাতিল করা ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। বিচ্ছেদের পর স্বামীর খোরপোষ নিয়ে মামলা চলছিলো স্ত্রী মিজ সুমিত্রার।

ঘটনাটি হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু নতুন হচ্ছে বাতিল নোট। স্বামী বিজয় শীলের দেওয়া খোরপোষের অর্থ বাতিল নোটে নিতে রাজি নন স্ত্রী সুমিত্রা।

এ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন বিজয় শীল, শেষতক জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাকে। ঘটনাটি কলকাতার।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোটে সাবেক স্ত্রীকে খোরপোষের টাকা দিতে চেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু বাতিল নোটে তা গ্রহণ করতে রাজি হননি সাবেক স্ত্রী।

ফলে একমাসের জন্য ওই বৃদ্ধকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রুপির নোট দু’টি অচল ঘোষণা করায় ক’দিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

সুমিত্রার আইনজীবী অঙ্কিতা দাস বলেন, ‘বিজয় শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো-বেশ কয়েকবছর ধরে আদালত নির্ধারিত খোরপোষ দিচ্ছেন না তিনি। এমনকি পলাতকও রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। ’

তবে স্বামী বিজয়ের আইনজীবী প্রতাপ দে বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী নোট বাতিল ঘোষণার আগেই বেশিরভাগ টাকা পরিশোধ করতে চেয়েছিলেন বিজয়।

‘কিন্তু ওই সময় কিছু অর্থ কম থাকায় আদালত বিজয়ের সাবেক স্ত্রীকে তা এক সঙ্গে পরিশোধের কথা বলেন। তখনও কিন্তু ৫০০ আর ১০০০ রুপির নোট অচল ঘোষণা করা হয়নি। ’
তিনি বলেন, হাজিরার দিন রাতেই নোট দু’টি অচল বলে ঘোষণা করেন।

‘মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ফের হাজিরার দিন বিজয়ের স্বজনরা খোরপোষের পুরো অর্থ অর্থাৎ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েই আদালতে এসেছিলেন। তবে তার সাবেক স্ত্রী অচল নোটে খোরপোষ নিতে রাজি হননি,’ বলেন অ্যাডভোকেট প্রতাপ দে।  

তিনি এও বলেন, ‘আদালতে দাঁড়িয়ে আমি বিজয়ের সাবেক স্ত্রীকে বলেছিলাম, এ অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নতুন নোট তুলে নিতে পারবেন। এমনকি চেক বা ডিমান্ড ড্রাফটেও এ অর্থ নিতে চাইলেন না উনি। কিন্তু বিচারক আমার মক্কেলকে একমাসের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ’

তবে এ বিষয়ে উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে সুমিত্রার আইনজীবী বলেন, ‘অচল নোটে খোরপোষ কীভাবে নেবেন আমার মক্কেল? এমনকি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।