ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর ৮ উক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর ৮ উক্তি ছবি: সংগৃহীত

সদ্যপ্রয়াত কিউবার অবিসংবাদিত বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর শোকে মুহ্যমান দেশটির জনগণ। জনগণ বলছে, কাস্ত্রো প্রয়াত হলেও তার বিপ্লবী আদর্শ চিরজাগরূক থাকবে সমাজবাদীদের প্রাণে প্রাণে।

ঢাকা: সদ্যপ্রয়াত কিউবার অবিসংবাদিত বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর শোকে মুহ্যমান দেশটির জনগণ। জনগণ বলছে, কাস্ত্রো প্রয়াত হলেও তার বিপ্লবী আদর্শ চিরজাগরূক থাকবে সমাজবাদীদের প্রাণে প্রাণে।

১৯৫৯ সালে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর কাস্ত্রো নানাসময়ে নানা কথা বলেছেন। তার সেসব উক্তি থেকে নির্বাচিত ৮টি পাঠকদের জানিয়ে দিচ্ছে বাংলানিউজ।

বিপ্লবের আগে ১৯৫৩ সালের ১৬ অক্টোবর মনকাডা ব্যারাকে অভিযানে জন্য তার বিচারের সময় বলেন, “আমাকে দোষারোপ করো। এটা কোনো ব্যপার নয়। ইতিহাসই আমাকে দোষারোপ থেকে মুক্তি দেবে। ”

১৯৫৯ সালে বিপ্লবের ৩০ দিন পর সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি আমার দাঁড়ি কাটা নিয়ে চিন্তিত নই, কারণ তাতে আমি অভ্যস্ত। কিন্তু আমার দাঁড়ি মানে দেশের জন্য অনেক কিছু। যখন আমরা ভালো সরকার পরিচালনায় আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবো, তখন আমি আমার দাঁড়ি কাটবো। ”

বিপ্লবের বছরেই একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি ৮২ জনকে নিয়ে বিপ্লব শুরু করেছিলাম। আমি যদি আবারো সেটি শুরু করতাম তাহলে ১০ জন অথবা ১৫ জনকে নিয়ে শুরু করতাম এবং তা পরম বিশ্বাস সহকারে। আপনার দল কতো ছোট, এটি কোনো ব্যপার নয়, যদি আপনার বিশ্বাস ও কর্মপরিকল্পনা থাকে। ”

১৯৬১ সালে হাভানায় কিউবান বিপ্লবের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তৃতাকালে বলেন, “বিপ্লব পুষ্পশয্যা নয়। বিপ্লব ভবিষ্যৎ এবং অতীতের মধ্যে মৃত্যুর সংগ্রাম। ”

১৯৮৯ সালে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “শুধু কল্পনা করেন, বিশ্বে কী ঘটবে যদি সমাজতান্ত্রিক সম্প্রদায় অদৃশ্য হয়ে যায়... আগে সম্ভব হলেও এখন আর তা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি না। ”

১৯৯২ সালে নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে জন নিউহাউজের ‘মৃত্যুর সমাজতন্ত্র’ লেখায় তার একটি উক্তি ছিল “সকল সমালোচনাকারী বিরোধী। সকল বিরোধীই প্রতি-বিপ্লবী। ”

২০০৬ সালে ২১ জুলাই আর্জেন্টিনায় লাতিন আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “৮০ বছরে পদার্পণে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি কখনোই এটি আশা করিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলো প্রতিদিনই আমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছে। ”

মাত্র দু’মাস আগেই কিউবাবাসী কাস্ত্রোর ৯০তম জন্মদিন উদযাপন করে। সেখানে এক অনুষ্ঠানে কাস্ত্রো তার মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এসেছে মন্তব্য করে বলেন, “আমি যে ৯০ বছরে পা দিতে পারবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। এতো বছরের ‍আয়ুলাভ স্রেফ প্রকৃতির খেয়াল। ”

কাস্ত্রো যেন ঠিকই বলেছিলেন, প্রকৃতির খেয়ালেই তিনি বিপ্লব করতে এলেন। কিউবার জনগণকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিয়ে তিনি আবার চলে গেলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
আরএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।