একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ছায়া মন্ত্রিসভার চ্যান্সেলর ম্যাকডোনেলকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের উত্তর দেন লেবার পার্টির এই রাজনীতিক।
সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রতি খনি শ্রমিকদের ক্ষোভ-অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সাউথ ওয়েলসের রোন্ডা এলাকায় আন্দোলন ছড়িয়েছিল। এই আন্দোলন শেষতক সহিংসতায় গড়ায়। সহিংস এই আন্দোলনই পরিচিত হয় ‘টনিপ্যান্ডি রায়ট’ বলে। সহিংসতা বন্ধে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চার্চিল সেখানে সেনাবাহিনী পাঠান। ওই আন্দোলনে একজন নিহত, অনেকে আহত এবং বেশ ক’জন শ্রমিক গ্রেফতার হন।
আন্দোলন দমনে সেনা পাঠানোর ওই সিদ্ধান্তের জন্য পুরো রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ভুগতে হয় চার্চিলকে। মানবাধিকার নেতারা ওই সিদ্ধান্তকে ‘শ্রমিক-অধিকারবিরোধী অবস্থান’ চিহ্নিত করেছিলেন। এমনকি চার দশক পর ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনী প্রচারণায়ও চার্চিলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, যেজন্য ব্রিটিশ এই রাজনীতিক অনুশোচনা প্রকাশ করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপসহ মিত্রশক্তিকে অক্ষশক্তির হাত থেকে রক্ষায় ভূমিকার জন্য সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে তার অনুসারীরা মহান নেতা হিসেবে সম্মান করেন। এমনকি ২০০২ সালে সর্বকালের সেরা ব্রিটিশ নির্বাচনে যে জরিপ হয়েছিল, তাতেও সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন চার্চিল।
তবে ম্যাকডোনেল ভিলেন বললেও চার্চিলকে সেই সম্মানের জায়গায়ই রাখছেন লেবার পার্টির অন্য এমপিরা। সেই দলের আরেক এমপি ইয়ান অস্টিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার্চিলের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘...একজন সত্যিকারের ব্রিটিশ হিরো, সর্বকালের সেরা ব্রিটিশ, যিনি নাজিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন এবং কেবল আমাদের স্বাধীনতার জন্য নয়, বিশ্বের মুক্তির জন্যও লড়াই করেছিলেন। ’
বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও টুইট করে বলেছেন, ‘চার্চিল ছিলেন সর্বকালের সেরাদের একজন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এইচএ/