স্থানীয় সময় রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের গির্জা এবং অভিজাত হোটেলে এ হামলা চালানো হয়।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপন করা হচ্ছিলো গির্জাগুলোতে।
এর আধাঘণ্টার মধ্যেই রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্টিন চার্চ ও ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাট্টিকালোয়ার জিওন চার্চেও বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া রাজধানী কলম্বোর কিংসবারি, সাংগ্রিলা এবং সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলেও তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই হোটেলে অসংখ্য বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, পৃথক হামলায় এ পর্যন্ত ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আর ৫০০ এর বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর দুপুরের হামলায় আরও দুইজনসহ মোট ১৫৮জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেন্ট সেবাস্টিন চার্চ কর্তৃপক্ষ হামলার পরের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চার্চের ভেতর বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ও মেঝেতে রক্তের দাগ লেগে আছে।
এদিকে দুপুরে রাজধানী দেশটির রাজধানী কলম্বোর দেহিওয়ালা জেলার উপকূলের একটি ছোট্ট হোটেলে সপ্তমবারের মতো বিস্ফোরক হামলা হয়। আরেকটি হামলা হয়েছে কলম্বোর দেমাতাগোদা জেলায়। এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামলার পর শ্রীলঙ্কার স্কুল-কলেজ দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হতাহত হয়েছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় কলোম্বোয় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯/আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা
একে/এমএ/