আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর বয়সী ম্যাকক প্রজাতির বানরটি মূলত বিশাল পেটের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। পর্যটকদের দেওয়া খাবার খেয়ে খেয়ে তার ওজন দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১৫ কেজি, যা এ প্রজাতির বানরের স্বাভাবিক ওজনের প্রায় দ্বিগুণ।
একারণে তাকে বছর দুয়েক আগে একটি ‘ফ্যাট ক্যাম্পে’ রেখে যান পশুপ্রেমীরা। কিন্তু বানরটির ওজন কমানোর সব চেষ্টাই বৃথা যায়। কারণ, অন্য বানরদের খাবার চুরি করা তো বটেই, এর সঙ্গে পর্যটকেরা তাকে যা দিতো, সবই খেতো সে।
ভুড়িওয়ালা পেট আর সহজে ছবি তুলতে দেওয়ার কারণে পর্যটকদের কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বানরটি। নেটিজেনরা আদর করে তার নাম রাখেন ‘আঙ্কেল ফ্যাটি’।
কিন্তু, সবার প্রিয় আঙ্কেল গত ফেব্রুয়ারিতে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসায় সে নিজেই দল ছেড়ে দূরে চলে গেছে।
বানরটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার অনুরোধ জানান। এতেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
এমনকি, খুন খালা মনুমেন্ট নামে যে জায়গায় সে একটি বানর দলের নেতা ছিল, তার আশপাশে তন্নতন্ন করে খুঁজেও মরদেহ বা কোনো ধরনের চিহ্ন দেখা যায়নি।
স্থানীয় অনেকের বিশ্বাস, বানরটির মরদেহ আসলে জঙ্গল নিয়ে গেছে! আবার অনেকের দাবি, তাকে হয়তো কিছুতে খেয়ে ফেলেছে।
স্থানীয় এক বানরপ্রেমী বলেন, আঙ্কেল ফ্যাটিকে নিয়ে এখনও চিন্তা হচ্ছে। আমরা তাকে আরও খুঁজবো। সে মারা গেছে দেখলে খারাপ লাগবে, কিন্তু সেটা অন্তত কিছু না জানার চেয়ে ভালো।
গিবন, ম্যাকক, লেঙ্গুর, লোরিসসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির হাজার হাজার বানরের বসবাস থাইল্যান্ডে। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের পাশাপাশি অসংখ্য বানর দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায়। পর্যটকদের কাছেও তারা বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
একে