বিজেপি সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আহমেদাবাদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে। এ নিয়ে গত এক মাসে চতুর্থবারের মতো আদালতে পা রাখবেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ২৩ এপ্রিল মধ্য প্রদেশে এক জনসভায় বিজেপি সভাপতিকে একটি খুনের মামলার অভিযুক্ত উল্লেখ করে সমালোচনা করেন তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি। ওই মামলা থেকে অমিত শাহকে পাঁচ বছর আগেই খালাস করে দিয়েছিল আদালত। এসময় বিজেপি নেতার ছেলে জয় শাহকেও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়েছিলেন রাহুল। এ বক্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দেন এক বিজেপি নেতা।
গত সপ্তাহেই পাটনার আদালত থেকে আরেকটি মানহানির মামলায় জামিন পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা। মহারাষ্ট্রে এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, ‘সব চোরেরই বংশগত নাম মোদী। ’ এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিহারের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার সুশীল মোদী।
পাশাপাশি, গুজরাটের সংসদ সদস্য পুর্ণেশ মোদীর দায়ের করা আরেকটি মানহানির মামলায় সুরাটের আদালতেও হাজিরা দিতে হবে রাহুলকে।
গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে দেখা গিয়েছিল সদ্য পদত্যাগ করা কংগ্রেস সভাপতিকে। সাংবাদিক গৌরি লংকেশ হত্যাকাণ্ডে বিজেপি-আরএসএস অনুসারীরা জড়িত, এ মন্তব্যের কারণে এক আরএসএস কর্মীর দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
এ মামলার শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। তবে, পরবর্তী হাজিরা থেকে তাকে আপাতত অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, আগামী ১২ জুলাই আবারও আহমেদাবাদের আদালতে দেখা যাবে রাহুল গান্ধীকে। কোনো রাজনৈতিক নেতা নয়, এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে আহমেদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কোঅপারেটিভ ব্যাংক (এডিসিবি)।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করে মোদী সরকার। এর মাত্র পাঁচ দিন পরই রাহুল ও কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেয়ালা অভিযোগ করেন, এডিসিবি প্রায় সাড়ে ৭শ’ কোটি সমমানের বাতিল নোট পরিবর্তন দুর্নীতিতে জড়িত। এর জেরেও এখন আদালতে চক্কর কাটছেন রাহুল গান্ধী।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
একে