বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার (২৪ জুলাই) ভারতের সংসদে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের আইন নিয়ে বিতর্ক হয়।
ভারতে শিশুদের যৌন সুরক্ষায় যে আইন রয়েছে, সেটির নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যারা শিশুদের যৌন নিপীড়ন করবে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর এ সংশোধনীর ব্যাপারেই রাজ্যসভায় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সে বিতর্কে এ সংশোধনীর পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়েই নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের কথা জানান তৃণমূলের এ নেতা।
ডেরেক ও’ব্রিয়েন বলেন, আমি গর্ব ও দুঃখের সঙ্গে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শেয়ার করছি। ব্যাপারটি আমার পরিবার জানে। এখন আমার মনে হয় পুরো ভারতের এটি জানা প্রয়োজন।
‘আমার বয়স তখন ১৩। আমি টেনিস খেলে কলকাতার বাসে করে বাসায় ফিরছিলাম। আমার পরনে ছিল টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট। বাসে অনেক ভিড় ছিল। সে সময়ই আমার সঙ্গে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। তবে আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি। ’
তৃণমূলের এ নেতা বলেন, কোথা থেকে এ যৌন নিপীড়নের শুরু হয় তা আমাদের কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট। এটি সাধারণত পরিবার থেকেই শুরু হয়। আমাদের উচিৎ এ বিষয় নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলা। আমরা এ ইস্যুতে যত বেশি কথা বলবো, তত বেশি শিশু এ ধরনের নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। এখনই সময়। এ ধরনের অন্যায় আর নয়।
তিনি বলেন, যদিও আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি জনসম্মুখে বলতে আমার এত বছর সময় লাগলো, তবে আমি অন্য সবাইকেই অনুরোধ করবো যে, আপনাদের সঙ্গে যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে তা তুলে ধরুন। যাতে করে শিশুরাও তাদের সঙ্গে এমন কিছু ঘটলে তা বলতে দ্বিধাবোধ না করে।
ডেরেন ও’ব্রিয়েকের সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনা জনসম্মুখে শিকারে তার প্রতি সমর্থন জানান এ সভায় উপস্থিত থাকা ভারতের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এসএ/