ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, লোকসভায় পাস হলেও বিলটিকে এবার রাজ্যসভা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেখানেও পাস হলে তবেই কার্যকর হবে তিন তালাকের মাধ্যমে মুসলমানদের তাৎক্ষণিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধের এ আইন।
নতুন এ আইনে, কোনো মুসলমান পুরুষ শুধু মুখে তিন তালাক বলেই বিবাহ বিচ্ছেদ করলে তার কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তবে, এ আইনকে অগ্রণযোগ্য মন্তব্য করে কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বিল পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এমনকি, এ বিলের বিরোধীতা করছে বিজেপি জোটের অন্যতম শরিক জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তাদের দাবি, এ আইন সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করবে।
তবে সরকার পক্ষ জানিয়েছে, ভারতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে আইনটি আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিল উত্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, মালয়েশিয়া-পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২০টি মুসলিম দেশ তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত কেন করবে না? এ কাজের জন্য শাস্তির বিধানে সমস্যা কোথায়? হিন্দু ও মুসলমানদের যৌতুক বা পারিবারিক নির্যাতনের জন্য কারও জেল হলে, তখন তো কেউ অভিযোগ জানায় না।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলার পরও এ প্রথা চলছেই। তখন থেকে এ পর্যন্ত কয়েকশ’ মামলা হয়েছে।
তবে, হঠাৎ করেই তিন তালাক নিষিদ্ধের বিল লোকসভায় তোলায় সরকারের বাজে মতলব আছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।
কংগ্রেসের চিফ হুইপ কে সুরেশ বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেন, গতকাল রাতে তিন তালাক বিলটি আজকের এজেন্ডায় যোগ করা হয়েছে। আর বিরোধীদের না জানিয়েছেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ও ডিএনএ টেকনোলজি রেগুলেশন বিল উত্থাপন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিলের বিষয়টি গোপন রাখছে কেন?
যদিও সরকারের দাবি, বিরোধীরা অযথাই এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ইস্যুটিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখবেন না। এটা ন্যায়বিচার ও মানবতার ইস্যু, নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ইস্যু। আমরা আমাদের মুসলিম বোনদের ফেলে দিতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
একে