গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। এটিকে বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম ডাকাতির ঘটনা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ডাকাতরা পুলিশভ্যান নিয়ে গাওরালোস (সাও পাওলো) বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, গাড়ি থেকে চার জন নেমে আসেন। তাদের সবাই পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন। একজনের হাতে বন্দুক ছিল।
বিমানবন্দর প্রেস অফিস জানায়, ছদ্মবেশী ডাকাতরা ভেতরে ঢুকেই বিমানবন্দরকর্মীদের বিভিন্ন আদেশ দিতে থাকেন। তাদের এক জন ফোর্কলিফটে করে একটি বাক্স ওই পুলিশভ্যানে তোলেন।
বক্সটিতে প্রায় সাড়ে ৭শ’ কেজি সোনার বার ছিল, যার বাজার মূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২শ’ ৫৩ কোটি টাকা)। সেগুলো জুরিখ ও নিউ ইয়র্কে নেওয়া হচ্ছিল।
দেশটির পুলিশ প্রধান জোয়াও কার্লোস মিগুয়েল হিউব সাংবাদিকদের বলেন, এটি সুসংগঠিত চক্রের কাজ। অবশ্যই এটা তাদের প্রথম ডাকাতি নয়।
ডাকাতির আগের রাতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পরিবহণ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে চক্রটি। এতে ডাকাতদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে বাধ্য হন ওই কর্মকর্তা।
তবে, ডাকাতি শেষে অপহরণ করা ব্যক্তিদের অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যবহৃত নকল পুলিশের গাড়িও ফেলে গেছে তারা।
বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও ডাকাতরা কীভাবে পরপর দু’বার গেট পার হয়ে গেল, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, ২০০৫ সালে ব্রাজিলে তাদের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা সেন্ট্রাল ব্যাংকের ফোর্টালেজা শাখার নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের স্থানীয় মুদ্রা লুটে নেয়। ২০১৭ সালে একইভাবে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বাঙ্কো দো ব্রাজিলের ভল্ট ডাকাতির আগ মুহূর্তে সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
একে