বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে কলকাতার গলফ গার্ডেনের দেয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ে তার গাড়িটি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আকাশকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন ২০ বছর বয়সী এ তরুণ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মা রূপা গাঙ্গুলি, বাবা ধ্রুব মুখার্জি ও আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে আকাশের গাড়িটি একটি দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় সেখানকার কয়েকজন মানুষ অল্পের জন্য রক্ষা পান বলে দাবি স্থানীয়দের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গাড়িটি বেশ দ্রুত চলছিল। আমাদের ধারণা, চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি মাতাল অবস্থায় ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলর অর্চনা সেনগুপ্ত বলেন, আকাশকে গাড়ি থেকে বের হতে সাহায্য করেন তার বাবা ধ্রুব মুখার্জি। তিনি কাছেই থাকেন।
তিনি বলেন, কপাল ভালো, এতে কেউ প্রাণ হারাননি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই একটি বস্তি আছে, সেখানে শিশুরা খেলাধুলা করে। স্থানীয়রা বলেছেন, গাড়িটি যখন দেয়ালে ধাক্কা দেয়, তখন সেখানে দু’টি শিশু খেলছিল আর কয়েক তরুণ গল্প করছিল।
দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে ছুটে যান অর্চনা সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, গাড়ির চালক অক্ষত অবস্থায় বের হয়েছেন। গাড়ির সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা খুব ক্ষেপে ছিলেন। তারা বলেছেন, ছেলেটির গ্রুত গাড়ি চালানোর অভ্যাস আছে।
ছেলের দুর্ঘটনার পর এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন রূপা গাঙ্গুলি। তার দাবি, দুর্ঘটনার পর নিজেই পুলিশ ডেকেছেন। নিজের ছেলে বলে কোনো ধরনের পক্ষপাত চান না তিনি। তবে, সে মাতাল থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে এটিকে মিডিয়ার গালগল্প বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এক টুইটে বিজেপি নেত্রী বলেন, বাড়ির কাছেই আমার ছেলে দুর্ঘটনায় পড়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দয়া করে কোনো পক্ষপাত বা রাজনীতি নয়। আইন নিজের পথেই চলা উচিত।
আরেক টুইটে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে ভালোবাসি আর তার খেয়ালও রাখবো। কিন্তু, আইন নিজের পথেই চলা উচিত।
পরে আরও একটি টুইটে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে রূপা গাঙ্গুলি বলেন, আমি তার (আকাশ) সঙ্গে বিকেলে কথা বললাম.. দুপুরের খাবারসহ অন্য সাধারণ বিষয়ে আলোচনা করলাম.. এখন মিডিয়ায় এসব অর্থহীন মন্তব্য শুনতে হচ্ছে। সে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে চলে গেছে… এটা কী ধরনের নোংরা রাজনীতি?
আকাশ মুখার্জি মাতাল থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তার আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, মেডিক্যাল টেস্টে কোনো ধরনের অ্যালকোহল গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটা যান্ত্রিক গোলযোগের ঘটনা মাত্র।
আকাশের বাবা ধ্রুব মুখার্জি বলেন, (দুর্ঘটনার পর) সে ধীরস্থির ছিল, পরিষ্কার কথা বলছিল। তবে, হাত-পা কাঁপছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
একে