মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি এ কথা জানান। পাকিস্তানভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল অ্যারি নিউজের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
কোরেশি বলেন, আমরা কাশ্মীর ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আদালতে দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইনগতভাবে সব দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান তিনি। যদিও ভারত এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদে পাকিস্তানের দিকে থেকে সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ পদক্ষেপের কথা জানানো হলো। এর আগে একই ইস্যুতে দেশটি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এ ছাড়া এটি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেরও দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তানে দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে। বাস্তবে এটি কারো দখলেই পুরোপুরি নেই। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধও হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ দুই দেশকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কাশ্মীর সংকট সমাধানের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি সপ্তাহে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য এক সাক্ষাৎ পর্বে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোও এ বিষয়ে মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের ঘটনায় এখনও সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কাশ্মীরবাসীর দিক থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের আশঙ্কায় পুরো অঞ্চল জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা। এসবের পরেও নানা জায়গায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে চলেছে। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভ সহিংসতাতেও পরিণত হয়।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউটের পর এখন পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই যুবক।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এইচজে