মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) প্রদেশের রাজধানী আল-আইরিশ এলাকায় ‘জঙ্গিদের’ গোপন আস্তানায় অভিযানকালে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সহিংস হামলা’ চালাতে আল-আইরিশ অঞ্চলের গোপন আস্তানায় অবস্থান নেয় জঙ্গিরা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অভিযানকালে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়েছেন কি-না, সে ব্যাপারেও কিছু জানায়নি তারা।
মিশর দীর্ঘ দিন ধরে ইসলামী চরমপন্থিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এসব গোষ্ঠীর হামলায় এখন পর্যন্ত সিনাই অঞ্চলের উত্তরাংশে শত শত সেনা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এগুলোকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু, নিহতদের পরিবারের দাবি, এগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোও মিশরের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক আদালতের মুখোমুখি করার অভিযোগ তুলে আসছে।
অন্যদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, মানবাধিকারের বিষয়টি সেখানকার আঞ্চলিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সাপেক্ষে বিচার করতে হবে। ২০১১ সালের পর থেকে মিশরে চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে এসব অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এইচজে/এইচএ