শনিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে নির্ধারিত দিনে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ ভারতীয় নয়, বিদেশি তো বটেই, এমনকি পরিচয়হীনও হয়ে যাচ্ছেন।
১২০ দিনের ভেতরে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে হবে তাদের। যদিও আগের চেয়ে আপিল করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে চূড়ান্ত ঘোষণাতে। আগে ৬০ দিনের ভেতরে আপিল করতে হতো।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাদ পড়াদের আপিল শুনানির জন্য রাজ্যজুড়ে এক হাজার ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে ১০০ ট্রাইব্যুনাল খোলা হয়েছে। আরও ২০০টি ট্রাইব্যুনাল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই খোলা হবে। এছাড়া যদি কেউ ট্রাইব্যুনালে আপিল করে ব্যর্থ হন, তাহলে সর্বোচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তীতে কী হতে যাচ্ছে আসামে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ভারত কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শনাক্তকরণে এই প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয়।
তালিকাটি www.nrcassam.nic.in এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ওয়েবসাইটে পুরো তালিকা এখনও সহজলভ্য হয়নি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ০৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে, চূড়ান্ত নাগরিকত্ব তালিকা ঘোষণা ঘিরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। থমথমে পরিস্থিতি। একসঙ্গে চারজনের বেশি জটলায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আসাম রাজ্য সরকার জানিয়েছে, যারা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে, নাগরিকত্ব প্রমাণে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যারা বাদ পড়বেন, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
এর আগে রাজ্যটির এনআরসির প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন ৪০ লাখ ৭০ হাজার ‘বাঙালি বসবাসকারী’। এ হিসেবে চূড়ান্ত ঘোষণাতে আশঙ্কা করা হয়েছিল ৪১ লাখের মতো মানুষ বাদ পড়তে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
টিএ