প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টিলেজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এ সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য বাসযোগ্য শহর হিসেবে প্রথমস্থান দখল করে ভিয়েনা।
এর আগে এক টানা সাত বছর প্রথমস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সিটি। গতবছর এমন দিনে ভিয়েনা যখন শহরটিকে পেছনে ফেলে দেয়, তখনই সবাই আবাক হয়ে যায়। এবারও দ্বিতীয় স্থানে মেলবোর্ন। এছাড়া শীর্ষ পাঁচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ারই আরেকটি শহর আছে। বাসযোগ্য তৃতীয় শহর সিডনি। এরপরে চারে স্থান পেয়েছে জাপানের ওসাকা। পাঁচে কানাডার ক্যালগরি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশ্বের ১৪০টি শহরকে বাছাই করে বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক অবস্থান র্যাংকিং করেছে ইআইইউ। শহরগুলোর রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, অপরাধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ছয় নম্বরে আছে কানাডার ভ্যানকোভার, সাতে যৌথভাবে টরেন্টো এবং জাপানের টোকিও। আটে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন এবং দশে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড।
এ হিসেবে দেখা গেছে, বাসযোগ্য শহরের শীর্ষ দশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জাপানেরই আধিপত্য বেশি। একেকটি তিনটি এবং দুইটি করে শহর নিয়ে এগিয়ে আছে।
এদিকে, তালিকাটির একদম শেষের দিকে থাকা অর্থাৎ বিশ্বের স্বল্পতম বাসযোগ্য বা সবচেয়ে বেশি বসবাস অনুপযোগী শহর হলো মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর সিরিয়া।
সবচেয়ে বেশি বসবাস অনুপযোগী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় নাইজেরিয়ার লাগোস, তৃতীয় ঢাকা, চারে লিবিয়ার ত্রিপলি, পাঁচে পাকিস্তানের করাচি, ছয়ে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরসবি, সাতে জিম্বাবুয়ের হারারে, আটে ক্যামেরুনের ডাউলালা, নয়ে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স এবং দশে ভেনিজুয়েলার কারাকাস।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
টিএ