শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এ কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলং জরুরি অবস্থার কারণে কার্যত অচল হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বাজারের সড়কে দুটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে।
টুইটারে পোস্ট করা অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মশাল মিছিল।
আরও পড়ুন>> নাগরিকত্ব বিল: গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত ৩
উইলিয়ামনগরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এ আইনের বিরোধীতাকারীরা। এসময় তাদের ‘কনরাড গো ব্যাক’ লেখা ব্যানার বহন করতে দেখা যায়।
এদিকে মেঘালয়ের পুলিশ এ পরিস্থিতিতে মিথ্যা তথ্য না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জরুরি অবস্থা জারি এবং এসএমএস ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধের বিষয়টিও জানানো হয়।
ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে (সিএবি) দেশটির রাষ্ট্রপতি সই করার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।
এর আগে ভারতে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে মিছিল বের করা হলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।
আরও পড়ুন>> আসামে বাংলাদেশি কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, ঢাকার প্রতিবাদ
বিলে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচএডি/