দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। প্লেনটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে মোট ১৭৬ জন আরোহী ছিলেন।
এদিকে ইউক্রেনের এক মন্ত্রীর বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের মধ্যে ৮২ জন ইরানিয়ান, ৬৩ জন কানাডিয়ান ও তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক। তবে বাকি আরোহীদের নাগরিকত্ব পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনাকে অনেকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে ‘আশঙ্কা’ করছেন। তবে বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ইরানে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস জানিয়েছে, প্লেনটির ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়, কোনো ধরনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলার ঘটনা ঘটেনি।
প্রাথমিকভাবে প্লেনটিতে ১৮০ জন আরোহী ছিল বলে জানা গেলেও পরে ১৭৬ জন থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
প্লেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।
ইরানের অ্যাভিয়েশন সংস্থার মুখপাত্র রেজা জাফর জাদেহ বলেন, ঘটনাস্থলে অ্যাভিয়েশন বিভাগের তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১৬ আরোহীর ১৫ জনই প্রাণ হারিয়েছিল। ২০১৪ সালে তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ৪৮ আরোহী নিয়ে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। সেসময় ৩৯ জন নিহত হয়েছিল।
>> বিধ্বস্ত প্লেনের ১৭৬ আরোহীই নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
জেডএস