বুধবার (২২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
নতুন এ ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস, যা মানুষের ও প্রাণীদের ফুসফুস সংক্রমণ করতে পারে।
এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো: শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এটি ঠিক কীভাবে ছড়িয়ে পড়লো তা জানতে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের ধারণা, কোনো প্রাণীর মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। উহানের স্থানীয় বাজারে যারা আসা-যাওয়া করেছেন, তাদের মধ্যেই প্রথম সংক্রমিত হয়েছে এটি।
ইতোমধ্যে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে চীনের অন্য অঞ্চলসহ থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের দুটি প্রধান বিমানবন্দরেও। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে চীন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে চীনে সরাসরি ফ্লাইট না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য, দুবাই, ভারত হয়ে কানেকটিং ফ্লাইটে চীন থেকে অনেক যাত্রী আসেন।
নতুন এ ভাইরাস সম্পর্কে বেশিরভাগ তথ্যই অজানা। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এটি মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। বিশ্বজুড়ে জরুরি গণস্বাস্থ্য অবস্থা জারি করা হবে কি-না, বুধবার এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
আরও পড়ুন: মানুষের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে চীনের নতুন ভাইরাস
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এফএম