বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার সংকট বিষয়ে এক বৈঠকে এ শঙ্কার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘তারা (শরণার্থীরা) ঘনবসতির এ জায়গায় আসছেন।
মার্ক লকুক জানান, ৫০ হাজারের বেশি লোক গাছের ছায়ায় বা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতিদিনের পাওয়া প্রতিবেদনে তিনি শীতে জমে শিশু মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন বলে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জানান লকুক।
বৈঠকে তিনি বলেন, সেই পিতা-মাতার শোকের কথা কল্পনা করুন যারা তাদের শিশুদের নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে এসেছে, চোখের সামনে শীতে জমে শিশুদের মরে যেতে দেখছে।
লকুক তার বক্তব্যে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতরেসকে অঞ্চলটিতে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার উদ্যোগের আহ্বান জানান।
ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে নতুন করে শুরু হওয়া আগ্রাসনে নয় লাখের বেশি বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এছাড়া এ বছরের শুরু থেকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় ইদলিবে এ পর্যন্ত অন্তত তিনশ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়া ইদলিবে বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছিল।
কিন্তু সিরীয় বাহিনীর নতুন করে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কে আশ্রয়ের জন্য ইদলিব ছেড়ে পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্য শরণার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এবি