জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৬তম অধিবেশনে পাকিস্তানের সম্পদ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলুচ রাজনৈতিক কর্মীরা ওই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
বেলুচ পিপলস কংগ্রেসের মহাসচিব ওয়াজা সিদ্দিক আজাদ বেলুচিস্তানে ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতি কাউন্সিলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা হতাশাজনকভাবে দশকের পর দশক ধরে চলছে। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) এ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ জোরপূর্বক অন্তর্ধানের বিরুদ্ধে সুপারিশ করেছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তার সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করেনি।
আজাদ বলেন, পাকিস্তানের মানবাধিকার লঙ্ঘন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। এটা একটা স্বীকৃত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান সরকার সবসময় বেলুচিস্তানকে একটি সংঘাতের এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে, যেখান থেকে সত্য দিনের আলো দেখতে পায় না।
সেনাবাহিনী বেলুচিস্তানে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই কারণে মূলধারার প্রচার মাধ্যম সেখানে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ প্রদান থেকে বিরত থেকেছে।
বেলুচ মানবাধিকার কর্মী আলী আকবর মেংগাল কাউন্সিলকে বলেন, তার এনজিও বেলুচিস্তানে চলমান সামরিক অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, শুধু সিপিইসি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জমির জন্য হাজার হাজার মানুষকে জোর করে বাড়ি ঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, শত শত বাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং অনেককে গুম করে ফেলা হয়েছে।
নিখোঁজ জাকার মাজিদ, ড. দীন মোহাম্মদ, জাহিদ কুর্দ, রশিদ বেলুচের পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানের কাছে উত্তর খুঁজছে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক