সবশেষ আদমশুমারিতে দেখা গেছে, চীনে জন্মহার ক্রমাগত কমছে। ফলে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমছে এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শহুরে দম্পতিদের মধ্যে সন্তান ধারণের প্রবণতা ক্রমাগত কমছে। ফলে চীন জনসংখ্যা সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
জন্মহার কমে যাওয়ায় নীতিনির্ধারকরা এক ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি জনসংখ্যার ভারসাম্যহীন এক দেশে পরিণত হবে।
চীন অল্প দিনের মধ্যেই ২০২০ সালের শেষের দিকে পরিচালিত সর্বশেষ আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৪ বছর বা তার কম বয়সী জনসংখ্যার অনুপাত ২০২০ সালে ছিল ২২.৮৯ শতাংশ, তা এবার কমে হয়েছে ১৬.৬০ শতাংশ। কয়েক দশকের পুরনো এক শিশু নীতির প্রভাবেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের সংখ্যা অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে।
এই প্রবণতার ধারাবাহিকতা চীনের কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমাবে। ফলে উৎপাদনশীলতার উপর প্রভব পড়বে।
জন্মহার বাড়ানোর জন্য চীন ২০১৬ সালে এক সন্তানের নীতি বাতিল করে। ২০২০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ১.৩৪ বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১.৪২ বিলিয়ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু জন্মহার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক