আঙ্কারাকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে এবং কাবুল নিয়ন্ত্রণ করতে পাকিস্তান সহায়তা করছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত তুরস্ক সফর করেন।
এই সফরের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা ছিল আফগানিস্তানে তুরস্ক ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সফরকালে উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি সামরিক প্রকল্প এবং বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করে।
পাকিস্তান আরও চায়, ন্যাটো এবং আমেরিকান বাহিনী প্রত্যাহার করা হলে সেখানে যেন তুরস্কের সেনা মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তান জানিয়েছে, হাক্কানি নেটওয়ার্কের (এইচকিউএন) সহায়তায় তারা ইতিমধ্যে তালেবানদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে, যাতে তারা তুর্কি বাহিনী মোতায়েন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আফগানিস্তানে আরও সৈন্য পাঠানোর অনুমতি দেয়।
জেনারেল রাজা তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকরের সাথেও আলোচনার জন্য দেখা করেন। তিনি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাকে সম্ভাব্য সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দেন। তারা উভয়েই তুরস্কের জন্য আফগানিস্তানে আরও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট এবং এইচকিউএন- এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে ব্যবহার করার বিষয়েও কথা বলেন।
তুরস্ককে সহায়তা করার পাশাপাশি এই সফরের পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) অংশ হিসেবে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তিনজনের মধ্যে দ্রুত জোট গড়ে তোলা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও চীনের সাথে সমন্বয় সাধন করছে। ধারণাটি হলো পারস্পরিক বিকাশের আকাশযান এবং যুদ্ধবিমানগুলির জন্য তিনটি দেশের দক্ষতা এবং ক্ষমতা একত্রিত করা। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তিনটি দেশের বিমান শক্তি বাড়াতে ড্রোন এবং যুদ্ধবিমানে চীনা দক্ষতার ওপর তুরস্কের দক্ষতার সমন্বয়ে একটি বিশাল সম্ভাবনা দেখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক