ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের পর সে অঞ্চলে শিল্প পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর সরকার এ মাসের শুরুতে ‘নতুন শিল্প নীতি ২০২১-৩০’ ঘোষণা করেছে।
১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন শিল্প নীতি অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসা সমস্ত শিল্প ইউনিটের পাশাপাশি বিদ্যমান ইউনিটগুলো এই নীতির অধীনে প্রণোদনা পাবে।
নতুন শিল্প নীতি আগের নীতিগুলো থেকে আলাদা। পুরনো শিল্প নীতির অধীনে কাশ্মীরের শিল্প খাত দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নতুন নীতিতে আগামী ১৫ বছরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের শিল্প উন্নয়নে ২৮,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে, যা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রণোদনা।
এটি প্রথম ব্লক-স্তরের উন্নয়ন প্রকল্প যা দেশীয়ভাবে উপলব্ধ স্থানীয় সম্পদ, দক্ষতা এবং প্রতিভা ব্যবহার করে খুব তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়নের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে চায়। এই নীতিতে বিশেষভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যুগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসে বিনিয়োগ করতে কোনও বাধা নেই।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেদিন থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে, সেদিন থেকে ৪০টিরও বেশি সংস্থা বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং সরকার ১৫০০ কোটি টাকা (১৫ বিলিয়ন টাকা) পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি লেফটেন্যান্ট গভঃ বাসির আহমাদ খানের উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের উদ্যোক্তাদের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে সবচেয়ে বিনিয়োগবান্ধব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা বলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে 'নতুন শিল্প নীতি ২০২১-৩০' বাস্তবায়িত হওয়ার পরপরই কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা তাকে স্বাগত জানান। কাশ্মীরের ফেডারেশন চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ নতুন নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশা সঞ্চার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১-৩০
নিউজ ডেস্ক