বিশ্ব যখন করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে, তখন চীনের কার্বন নিঃসরণ রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। ২০২০ সালের তুলনায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে নিঃসরণের মাত্রা ১৪.৫ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ও সিমেন্ট উৎপাদন থেকে দেশের সিও২ নিঃসরণ আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিআরইএর প্রধান বিশ্লেষক লাউরি মাইলিভির্তা বলেছেন, এটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বৃদ্ধির দ্রুততম হার।
এর ফলে প্রায় ১২ বিলিয়ন মেট্রিক টন সিও২ উৎপন্ন করেছে চীন, যা রেকর্ড।
কার্বন মনিটরের সাম্প্রতিক তথ্যেও দেখা গেছে, চীনের কার্বন নিঃসরণের হার বেড়েছে। গ্লোবাল সিও২ নির্গমন ট্র্যাকার বলছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে চীনের নিঃসরণ ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বের প্রধান নিঃসরণকারীদের মধ্যে দ্রুততম।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং গত বছর ২০৬০ সালের মধ্যে তার দেশকে কার্বন নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার করার পর এমন ঘটনা ঘটলো। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করা চীনের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য। কারণ চীন সবুজ অর্থনীতির দিকে যেতে পারবে না, কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো বন্ধ না করবে।
সিআরইএর প্রধান বিশ্লেষক বলেন, চীনের নির্মাণ কার্যকলাপের ফলে কয়লার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রথম ত্রৈমাসিকে নির্গমন বৃদ্ধির প্রায় ৭০ শতাংশ। তিনি বলেন, বাকিগুলি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে।
মাইলিভির্তার মতে, কয়লা ব্যবহারের প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি বিদ্যুৎ খাত থেকে এসেছে। এছাড়া ধাতু এবং বিল্ডিং উপকরণ খাত এর জন্য দায়ী। ইস্পাতের চাহিদা না কমানো হলে নিঃসরণ কমবে না।
বিশ্লেষক আরও বলেন, যদি সিও২ ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত বর্তমান হারে বাড়তে থাকে, তাহলে ২০২২-২০২৫ সালের মধ্যে আরও নিঃসরণ বাড়তে থাকবে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক