চীন করোনার চেয়েও খারাপ আরেকটি মহামারি ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এই প্রাদুর্ভাব থেকে শিক্ষা না নিলে চীন বিশ্বকে করোনার চেয়েও খারাপ আরেকটি মহামারিতে নিয়ে যেতে পারে।
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে এই প্রাদুর্ভাব ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আছে, যা দেশটির উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু করোনার আসল উৎস এখনও অজানাই রয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা দ্য সান অনলাইনকে বলেছেন, চীনে স্যাঁতসেঁতে বাজারের চলমান প্রসার, সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ল্যাব গবেষণা এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে আরেকটি মহামারি ছড়াতে পারে।
করোনার কারণে সারা বিশ্ব এখনও ভুগছে। এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং এখনও দিনে ৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
চীনরে কমিউনিস্ট পার্টির ওপর চাপ বাড়ছে মহামারি থেকে শিক্ষা নিতে এবং পরিচ্ছন্ন হতে। কিন্তু বেইজিং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনা গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভাইরাসটি অন্য কোথাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তারা মার্কিন বায়োঅস্ত্র গবেষণাগারের দিকে আঙুল তুলেছে।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিল্যান্ডের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো বায়োকেমিস্ট মিল্টন লিটেনবার্গ বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন যে চীন আরেকটি মহামারি সৃষ্টি করতে পারে। কারণ চলমান মহামারি সম্পর্কে চীন বিশ্বের কাছে সততার পরিচয় দেয়নি।
যে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, করোনা ভাইরাস উহানের একটি বায়ো-ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে, তারা আশঙ্কা করছেন, চীনের ল্যাব থেকে আরেকটি ভাইরাসও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এটি সবাই জানে যে চীন সব ধরনের বিপজ্জনক এবং বিতর্কিত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, যা পশ্চিমা দেশগুলিতে অনুমোদিত নাও হতে পারে।
অভিযোগ করা হয়, কিছু বিজ্ঞানী চীনের ল্যাবগুলিতে বিতর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ‘আউটসোর্সিং’ করে নিয়ন্ত্রণ বা নৈতিক বিবেচনাকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ গবেষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।
কথিত আছে, চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সালে করোনা ভাইরাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছিলেন।
হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান বিজ্ঞানী ড. রোল্যান্ড উইসডেঞ্জার দ্য সান অনলাইনকে বলেছেন, চীনের ভেজা স্যাঁতসেঁতে বাজারগুলো মহামারি সৃষ্টিতে বড় হুমকি হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক